রবিবার জেলার ছয় নম্বর আমলি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন সালথার গট্টি ইউনিয়নের সদস্য মুরাদ মোল্লা। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ফরিদপুর পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মুরাদ মোল্লা গট্টি ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের তিনবারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য। ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের আগে সালথা থানার ওসি তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অঙ্কের টাকা দাবি করেন। তার দাবি করা টাকা না দিলে তাকে নির্বাচন করতে দেবে না বলে ভয়ভীতি দেখায়। এতে মুরাদ বাধ্য হয়ে ওসিকে ৭৫ হাজার টাকা দেন। পরবর্তীতে ওসি তার কাছে বিভিন্ন সময় আরও এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। মুরাদ চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ক্ষোভে ওসি তাকে ৩টি মিথ্যা মামলায় আসামি করেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত ১৪ মার্চ রাত আনুমানিক ১টার দিকে পূর্ব আক্রোশের জেরে ওসি তার ভাই জিহাদকে পুলিশ দিয়ে কোনো মামলা বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই সালথা থানায় নিয়ে যায়। মুরাদ পরদিন সকাল ৮টার দিকে সালথা থানায় গিয়ে থানার হাজতখানায় মোট ৮ জন লোককে দেখতে পান। সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে ওসি তার বাস ভবন থেকে অফিসে আসার পথে মুরাদের সঙ্গে দেখা হয়। তখন মুরাদ ওসিকে তার ভাইকে ধরে আনার কারণ জানতে চাইলে ওসি অপরাধের কথা না বলে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য মুরাদের কাছে ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন। ওসি তখন মুরাদকে বলেন, টাকা না দিলে তার মতো তার ভাইকেও ৩টা মামলা দিয়ে কোর্টে চালান করে দেবেন। ওই সময় মুরাদ চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখান ওসি। এরপর তিনি থানা থেকে চলে আসেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, মুরাদ ওসির দাবি করা চাঁদার টাকা না দিলে তার আদেশে এসআই হান্নান তার ভাই জিহাদকে থানা হাজতখানা থেকে বের করে ভিন্ন রুমে নিয়ে রুমের জানালার সঙ্গে হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে শক্ত লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে জখম করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় তার ভাই জিহাদকে মিথ্যা মামলায় আসামি করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। ওই মামলায় গত বুধবার তার ভাই জামিনে বের হন। গুরুতর আঘাত পাওয়ায় তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
Leave a Reply