শনিবার (২রা এপ্রিল) ভোরে উপজেলার বৈরাগীরচালা গ্রামের আনোয়ারা মান্নান টেক্সটাইল মিলসে এ ঘটনা ঘটে। নিহত অপু মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার পূর্ব শিয়ালদি গ্রামের মো. পলাশ দেওয়ানের বড় ছেলে।
জানা যায়, অপু স্থানীয় একটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তো। কিন্তু করোনাকালে স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে পরিবারের অভাব মিটাতে বাড়তি আয়ের জন্য অপু, আনোয়ারা মান্নান টেক্সটাইল মিলসে চাকরি নেয়।
কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাতভর কারখানায় কাজ শেষে ভোর ৬ টায় বের হয়ে বাসায় যাওয়ার আগে শরীরে জমা তুলা ও ধুলা পরিষ্কার করার জন্য কমপ্রেশার মেশিনের কাছে যায় দুই বন্ধু। একে অন্যকে প্রথমে তুলা ও ধুলা পরিষ্কার করে দেয়। এক পর্যায়ে মজার ছলে অপুর প্যান্ট খুলে পায়ুপথে কমপ্রেশারের নল ঢুকিয়ে দেয় রাজু। এতে মুহূর্তের মধ্যে পেট ফুলে অপু মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে দ্রুত তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আনোয়ারা মান্নান টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান রফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল ৬টার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অপু। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি অপুর পেট ফুটবলের মতো ফুলে আছে। সে কথা বলতে পারছিল না। প্রতি মুহূর্তেই তার শরীর নিস্তেজ হয়ে আসছিল। কারখানার ব্যবস্থাপনায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোহাম্মদ জাবেদ কায়সার বলেন, রোগীর পেট অস্বাভাবিকভাবে ফোলা ছিল। তার প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। পালস রেট ছিল অনেক কম। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক মাহফুজ ইমতিয়াজ বলেন, এ ঘটনায় এক কিশোর শ্রমিককে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply