এমন জালিয়াতির অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দারা জানান, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরেই নিয়োগ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশবিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষের দাবি, এসব প্রতারণার সাথে তাদের সম্পর্ক নেই।
সাদিয়া খাতুন, কাজ করেন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে। গেল বছরের ৩রা ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশবিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে নিয়োগ পরীক্ষা দেন তিনি। এসময় ইমরান হোসেন নামের একজনের সাথে পরিচয় হয় তার।
ইমরান চাকরি পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন সাদিয়াকে। চুক্তি হয় তিন লাখ টাকার। যার অর্ধেক যোগদানের আগে আর বাকি টাকা পরে দিতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী নিয়োগ পত্রও দেন সাদিয়াকে। তা নিয়ে যোগদান করতে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় পত্রটি ভুয়া। বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি।
ভুক্তভোগী সাদিয়া বলেন, ‘খরচা বাবদ তিন লাখ টাকা চায়। আমি এত টাকা দিতে পারব না জানাই। পরে সে দেড় লাখ টাকা দিতে বলে, আর বাকিটা জয়েনিং’র পর দিতে বলে। এই বলে সে আমাকে একটা ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে আমার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নেয়’।
প্রতারকদের সাথে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কেউ জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ এর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘যদি কোনো রকম কোনো সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের লোকের সঙ্গে বাইরের প্রতারকদের কোনো সংযোগ থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ। কারণ, একটা সমাজকে ধ্বংস করার জন্য এই লোকগুলো ব্যাপক আকারে সন্ত্রাসী তৎপর বলে আমি মনে করি’।
অভিযোগ পেয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দারা জানান, বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষা ঘিরে সক্রিয় চক্রটি দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা করে আসছিল।
ডিএমপি গোয়েন্দা বিভাগ (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম) উপ কমিশনারমোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বলেন, ‘এদের আরও কিছু সহযোগী আছে, যারা এ ধরণের কাজ করে থাকে। তাদের কাজের ধরণ দেখা বোঝা যায় যে, এই কাজগুলো তাদের জন্য কোনো কঠিন না। সচরাচর এই কাজগুলো তারা করে আসছে’।
Leave a Reply