উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ জানান, সোমবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় শহীদ এ টি এম জাফর আলম আরাকান সড়কের উখিয়া উপজেলা সদরের সহকারি ভূমি কমিশনার কার্যালয়ের সামনে এ অভিযান চালানো হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হাজম রাস্তা এলাকার মোহাম্মদ ইউনুস ওরফে ফকির এর ছেলে মোহাম্মদ আলী জোহার (২৮), একই এলাকার মোহাম্মদ জালালের ছেলে ইমাম হোসেন (৩৫), জিয়াবুল হকের ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের (২০), ও মো. আয়ুব আলীর ছেলে মোহাম্মদ আয়াজ (১৯), পালংখালী ইউনিয়নের ভাদিতলা এলাকার মৃত আকতার কামালের ছেলে মোহাম্মদ রুবেল (১৯) এবং টেকনাফ পৌরসভার পুরান পল্লান পাড়ার মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে ফজল আহমদ (৬৫)। এদের মধ্যে ফজল আহমদ জব্দ করা বাসটির চালক।
আহমেদ সঞ্জুর আরও বলেন, বিকালে টেকনাফের দিক থেকে কক্সবাজারমুখি রোহিঙ্গাদের বহনকারি একটি বাস আসার খবরে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এতে উখিয়া উপজেলা সদর স্টেশনের সহকারি ভূমি কমিশনার কার্যালয়ের সামনে পুলিশ একটি অস্থায়ী তল্লাশী চৌকি স্থাপন করে। পরে টেকনাফ দিক থেকে আসা সন্দেহজনক যানবাহনে তল্লাশী চালায়। এক পর্যায়ে সন্দেহজনক একটি বাস পৌঁছালে সেটা থামিয়ে তল্লাশী করা হয়। এ সময় ১৭ জন নারী, ২২ জন পুরুষ, ৬ জন মেয়ে শিশু ও তিন জন ছেলে শিশুকে উদ্ধার করা হয়। পাচারকাজে জড়িত সন্দেহে বাসটির চালকসহ ছয় জনকে আটক করা হয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে।
ওসির ভাষ্য মতে, ‘একটি সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারি চক্র রোহিঙ্গাদের পাচারে জড়িত রয়েছে। চক্রটি চাকুরি, বিভিন্ন বাসা বাড়িতে গৃহকর্মী এবং শ্রমিকের কাজসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের পাচার করছে। এদের মধ্যে অধিকাংশ নারীকে অনৈতিক কাজের জন্য তুলে দিচ্ছে দালাল চক্রের কাছে।’
আহমেদ সঞ্জুর আরও জানান, আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে। উদ্ধার রোহিঙ্গাদের উখিয়ার কুতুপালংস্থ ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply