ঋণখেলাপি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৯জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। জেলা নির্বাচন কার্যালয় মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী তাঁদের প্রার্থিতা বাতিলের কথা জানান। তবে মেয়র পদে ছয় প্রার্থীর সবার প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করা হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস সূত্র জানায়- হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় সংরক্ষিত ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ফারজানা আক্তার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী কবির আহমেদ, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ রুমন আহমেদ, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের জামাল হোসেন কাজল ও মিন্টু, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কালাম আজাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। ঋণখেলাপি হওয়ায় ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী বিল্লাল, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একরাম হোসেন বাবু ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কালাম আজাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের জুয়েলের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয় কামিল পাসের সনদ না থাকায়। ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী বিল্লাল বলেন, ‘আমার ঋণ ছিল। কারাগারে থাকার কারণে এত দিন দিতে পারিনি। ১৮ মে দিয়েছি। এখন আপিল করব।এদিকে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থীর সবার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাশেদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দুবারের টানা মেয়র মনিরুল হক (সাক্কু), কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, কুমিল্লা নাগরিক ফোরামের সভাপতি কামরুল হাসান বাবুল। রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, ১৭ মে মেয়র পদে ৬ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২০ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যাচাই-বাছাইয়ের পর নয়জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ও একজন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। বতর্মানে মেয়র পদে ৬ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১১ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৭ জন প্রার্থী আছেন। শাহেদুন্নবী চৌধুরী আরও বলেন, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া ব্যক্তিরা চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে ২২’মের মধ্যে আপিল কর্তৃপক্ষের (চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মকর্তা) কাছে আবেদন করতে পারবেন। আপিলকারীদের শুনানি ২৩ থেকে ২৫ মে অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ও চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা করা হবে ২৬ মে। ২৭ মে প্রতীক বরাদ্দ ও প্রচারণা শুরু হবে। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন আগামী ১৫ জুন ইভিএমে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
Leave a Reply