অনলাইনে সংবাদের সঙ্গে ছোট্ট ভিডিও ক্লিপ যেতে পারে, কিন্তু আইনানুযায়ী সংবাদ বুলেটিন কিংবা টকশো প্রচার করা যায় না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রোববার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ কথা বলেন তিনি।
ফোরামের উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা বজায় রেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমাদের কাজ করে যেতে হবে। ফোরামের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন বলেন, প্রিন্টিং প্রেসেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স অ্যাক্ট অনুযায়ী সংবাদপত্রের অনলাইন বা অনলাইন সংবাদ পোর্টালে টকশো বা সংবাদ বুলেটিন সম্প্র্রচারের কোনো সুযোগ নেই।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আইনানুযায়ী টকশো এবং সংবাদ বুলেটিন প্রচার করা যে পত্রিকার অনলাইন বা অনলাইন পত্রিকার কাজ নয়, সে বিষয়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর মালিকদের সংগঠন-এটকোর সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ। এতে আমাদের পক্ষে অন্যদের সঙ্গে কথা বলা সহজ হবে এবং বিষয়টি সহজে উপস্থাপন করা যাবে।
ফোরামের নেতারা এ সময় নামসর্বস্ব ও অনিয়মিত পত্রিকায় সরকারি বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র দেওয়া বন্ধ ও মিডিয়া তালিকাভুক্তি বাতিল, বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল পরিশোধ, সংবাদপত্রগুলোর প্রচার সংখ্যা নির্ধারণ ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো, অপেশাদার সাংবাদিককে পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব না দেওয়া, সম্পাদক ফোরামের সদস্যদের ভিআইপি মর্যাদা দেওয়া ও বিভিন্ন কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি এবং পত্রিকার ডিক্লারেশন দেওয়ার ক্ষমতা তথ্য মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করাসহ ১০ দফা দাবি সংবলিত একটি চিঠি মন্ত্রীকে হস্তান্তর করেন।
সম্পাদক ফোরাম উত্থাপিত অপর বিষয়গুলো নিয়ে প্রেস কাউন্সিল ইতোমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে কর্মরত সাংবাদিকদের একটি ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি হলে তালিকায় সাংবাদিক হিসেবে কার নাম আছে, আর কার নাম নেই সেটি বোঝা যাবে। সবাই সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেওয়া তখন কঠিন হয়ে যাবে। তিনি এ সময় পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল দ্রুত পরিশোধের জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবেন বলে জানান।
ফোরামের সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার, উপদেষ্টাদের মধ্যে আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শরিফ সাহাবুদ্দিন, বেলায়েত হোসেন ও সদস্যদের মধ্যে দুলাল আহমেদ চৌধুরী, মীর মনিরুজ্জামান, মফিজুর রহমান খান বাবু, রিমন মাহফুজ, নাজমুল আলম তৌফিক, জগদীশ চন্দ্র সরকার প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
Leave a Reply